নিম্মচাপের ফলে রাস্তা জলের তলায় |
বিশেষ করে পটাশপুরের কেলেঘাই ও বাগুই নদীর জলে প্লাবিত হয়ে পড়েছে বিশ্বনাথপুর, তাপিন্দা গোকুলপুর-টাকাবেড়িয়া। অপরদিকে মথুরা গ্রাম পঞ্চায়েতের বাল্যগোবিন্দপুর, হাজিচক, মথুরা ১, ২, চন্দনখালি, খেত্রপাল, পানিয়াসারদাবাড় সহ একাধিক বিস্তীর্ন এলাকা ইতিমধ্যে জলের তলায় চলে গিয়েছে। ফলে চরম দুর্যোগের মধ্যে রয়েছে সাধারণ মানুষ। আর এহেনঅবস্থায় প্লাবিত এলাকা পরিদর্শন করেন পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা শাসক পূর্নেন্দু মাঝি, পটাশপুরের বিধায়ক উত্তম বারিক ও পটাশপুর ১ ব্লকের বিডিও পারিজাত রায়। এছাড়া নদী সংলগ্ন গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিকে দ্রুত বাঁধ মেরামতির জন্য বোল্ডার, পাথর, মাটির বস্তা সহ প্রয়োজনীয় সামগ্রী মজুত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ২০০৮ সালে বন্যা ভয়াবহতা দেখেছিলেন স্থানীয় পটাশপুরের বাসিন্দা।
আর তারই পুনরাবৃত্তি বলে মনে করছেন তারা। একদিকে করোনা আতঙ্কে গৃহবন্দি মানুষজন অন্যদিকে সেই ঘরেই জল ঢুকে যাওয়ায় ঘর থেকে বেরিয়ে জায়গায় উঁচু আশ্রয় নিচ্ছে। তবে দীর্ঘদিন বাঁধ এর দুরবস্থার কথা প্রশাসন কে জানানো সত্ত্বেও কোন কর্ণপাত করেনি দীর্ঘ সময় ধরে এলাকায় জল ঢুকে ধান জমি পুকুর কাঁচা বাড়ি ক্ষতি হয়েছে। ইতিমধ্যে স্থানীয় প্রশাসন বিডিও পঞ্চায়েতের সহযোগিতায় দুর্গতদের ত্রাণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তাছাড়া ইতিমধ্যে বহু সাধারণ মানুষ তাদের গবাদিপশু গুলিকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে আসছেন। এবিষয়ে পটাশপুরের বিধায়ক উত্তম বারিক বলেন, টানা কয়েকদিনের প্রবল বর্ষণে জলমগ্ন হয়েছে পটাশপুর। ইতিমধ্যে জলমগ্ন এলাকার বাসিন্দাদের উদ্ধারের করে নিরাপত্ত আশ্রয়ে নিয়ে আসার কাজ চলছে।
পাশাপাশি তাদের খাওয়া ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। অপরদিকে গবাদিপশুদের আশ্রয়স্থলের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তিনি আরও কেলেম্বাই ও বাগুই নদীর বাঁধ ভেঙে যাওয়ার কারণে পটাশপুর আরোও প্লাবিত হতে পারে। সে ক্ষেত্রে স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানদের ইতিমধ্যে সতর্ক করা হয়েছে এবং এলাকাগুলিতে মাইকিং প্রচার চলছে। কাঁচা বাড়ির বাসিন্দাদের স্থানীয় স্কুল বাড়িতে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। অপরদিকে এলাকাবাসী পুলকেশ বর্মণ বলেন, অতিভারী বৃষ্টির ফলে ধান থেকে শুরু করে নানান ফসল নষ্ট হয়ে গিয়েছে। যার ফলে কার্যত চিন্তায় মাথায় বাজ পড়েছে এলাকার চাষিদের। জলনিকাশি ব্যবস্থা থাকলেও প্রতিবছর এমন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় এলাকার চাষি থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ সবাইকেই তাছাড়া প্রবল বৃষ্টি ও নদীর জলে একাধিক মাটির বাড়ি ইতিমধ্যে জলের তলায় রয়েছে।
- Published on:
- 17/09/2021 11:02
- Published By: BIPRADIP DAS (Editor)
0 Comments: