বিশ্বজিৎ মন্ডল: প্রেমের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস। ঘটনায় তোলপাড় চাঁচল।অভিযোগ,প্রেমের নামে এক যুবতির সঙ্গে দীর্ঘদিন সহবাস করেন স্থানীয় এক যুবক। ওই যুবক আবার সম্পর্কে মালদা জেলা পরিষদের সভাধিপতির আত্মীয়।যুবতির দাবি,বছর ছয়েকের মেলামেশায় তাঁরা একাধিক সময় ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে লিপ্ত হন। তার জেরে তিনি গর্ভবতীও হন। প্রেমিকের চাপে তিনি গর্ভপাত করাতে বাধ্য হন। শুধু তাই নয়, সভাধিপতির ভাগ্নের সঙ্গে তাঁর রেজিস্ট্রি বিয়েও হয়েছে। রায়গঞ্জে সেই আইনি বিয়ে হয়। কিন্তু এখন তাঁর প্রেমিক তাঁকে স্ত্রীর মর্যাদা দিচ্ছেন না। এনিয়ে চাপ দিলে তাঁকে খুন করারও হুমকি দিচ্ছেন প্রেমিক। এই ঘটনা নিয়ে সোমবার সভাধিপতির বাড়ির সামনে ঘন্টাখানেক ধরে বিক্ষোভ দেখান ওই যুবতির পরিবার এবং গ্রামের লোকজন।আত্মীয় থাকায় সভাধিপতি ঘটনা ধামাচাপা করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ।
যদিও সভাধিপতি দাবি করেছেন, তিনি বিষয়টির মীমাংসা করতে ওই যুবতির পরিবারের লোকজনের কাছে আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর আবেদনে সাড়া দেননি যুবতির পরিবার।উল্টে তারা হই হট্টগোল করছে।পুলিশ এসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,মালদহের চাঁচল-১ নং ব্লকের ইসমাইলপুর গ্রামের মাতৃহারা ওই যুবতির সাথে গ্রামেরই এক যুবক রাকিবুল ইসলামের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।তখন তারা অপ্রাপ্তবয়স্ক।প্রাপ্তবয়স্ক হতেই তারা রেজিস্ট্রি বিয়েও করেন ২০১৯ সালে। ওই যুবতির দাবি,তিনবছর কাটলেও এখনো স্ত্রীর মর্যাদা দিচ্ছে না স্বামী।নানা অজুহাত দেখিয়ে দূরে সরিয়ে রেখেছে।কয়েকদিন আগে সংসার করার জন্য তার বাড়িতে গেলে ছেলের পরিবার মারধর করেছে।মারধর করা হয়নি বলে ছেলের পরিবারের তরফে দাবি করা হয়েছে।
ওই যুবতির আরোও অভিযোগ,রেজিস্ট্রি করার পর একাধিক বার বাইরে নিয়ে গিয়ে সহবাস করেছে।জোর করে গর্ভপাত করানো হয়েছে।এখন স্বামীর মর্যাদা চাইতে গেলে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে পরিবারের তরফে।জেলাপরিষদের সভাধিপতির সম্পর্কের আত্মীয়।সভাধিপতির কাছে বিচার করতে গেলেও ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এমতাবস্থায় স্বামীর মর্যাদা না পেলে আত্মহত্যা ছাড়া কোনো পথ থাকবে না।
- Published By: BIPRADIP DAS
Categories:
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য
মালদা
0 Comments: